ঐতরেয় উপনিষদ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপনিষদ যার রচয়িতা কে সেই তথ্য জানা যায়। এটি রচনা করেছেন ঋষি মহীদাস ঐতরেয়। তাঁর জীবন সম্বন্ধে খুব বেশি জানা যায় না। তবে চতুর্দশ শতকে সায়ন তাঁর বেদভাষ্যে একটি উপাখ্যান বর্ণনা করেন। মহীদাসের মা ছিলেন অব্রাহ্মণ, কুম্ভকার বংশজাত, নাম ইতরা — যার অর্থ “অপরজন”। সম্ভবত তিনি ঋষি বিশালের দ্বিতীয় বা “অন্য” স্ত্রী ছিলেন। এক বৈদিক অনুষ্ঠানে পঞ্চমবর্ষীয় মহীদাসকে তাঁর পিতার কোলে বসতে দেওয়া হয়নি। এতে তাঁর মা কষ্ট পান এবং ধরিত্রী মায়ের উদ্দেশে প্রার্থনা করেন। সেই প্রার্থনার ফলেই তাঁর পুত্র এক মহান ঋষি হন। তাঁর নাম হয় মহীদাস, অর্থাৎ “মহীর দাস” — ধরিত্রী মায়ের দাস বা ভক্ত।
এই উপনিষদ সাধারণ মানুষের কাছে বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক। এতে উল্লিখিত ‘চরৈবেতি’ (চর+এব+ইতি) কথার অর্থ এগিয়ে চল। এই বার্তা অত্যন্ত বাস্তববাদী ও প্রেরণাদায়ক। উপনিষদে বলা হয়েছে —
“পরিশ্রমী মানুষ মৌমাছির মত মধুর সন্ধান পায়, পাখির মত সুস্বাদু ফলের আস্বাদ পায়। সূর্যের প্রচেষ্টার দিকে তাকাও — প্রতিদিন ক্লান্তিহীনভাবে নিজের কাজে মগ্ন, আলস্যের ইঙ্গিত মাত্র নেই। অতএব, কোথাও থেমে যেও না, এগিয়ে চলো, এগিয়ে চলো।”
মোট ৩৩টি মন্ত্র সমৃদ্ধ ঐতরেয় উপনিষদ ঋগ্বেদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় এটি অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ। এখানে রয়েছে “প্রজ্ঞানং ব্রহ্ম” মহাবাক্যটি — যার অর্থ “চেতনাই ব্রহ্ম”।
সূত্র: স্বামী গুরুভক্তানন্দ, ‘ঐতরেয় উপনিষদ, সন্দীপনী সাধনালয়। ছবিতে থাকা ‘চরৈবেতি’ লেখা টি-শার্ট (আমাজন-এ উপলব্ধ) এই উপনিষদের জনপ্রিয়তাকে প্রমাণ করে।
ঐতরেয় উপনিষদ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপনিষদ যার রচয়িতা কে সেই তথ্য জানা যায়। এটি রচনা করেছেন ঋষি মহীদাস ঐতরেয়। তাঁর জীবন সম্বন্ধে খুব বেশি জানা যায় না। তবে চতুর্দশ শতকে সায়ন তাঁর বেদভাষ্যে একটি উপাখ্যান বর্ণনা করেন। মহীদাসের মা ছিলেন অব্রাহ্মণ, কুম্ভকার বংশজাত, নাম ইতরা — যার অর্থ “অপরজন”। সম্ভবত তিনি ঋষি বিশালের দ্বিতীয় বা “অন্য” স্ত্রী ছিলেন। এক বৈদিক অনুষ্ঠানে পঞ্চমবর্ষীয় মহীদাসকে তাঁর পিতার কোলে বসতে দেওয়া হয়নি। এতে তাঁর মা কষ্ট পান এবং ধরিত্রী মায়ের উদ্দেশে প্রার্থনা করেন। সেই প্রার্থনার ফলেই তাঁর পুত্র এক মহান ঋষি হন। তাঁর নাম হয় মহীদাস, অর্থাৎ “মহীর দাস” — ধরিত্রী মায়ের দাস বা ভক্ত।
এই উপনিষদ সাধারণ মানুষের কাছে বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক। এতে উল্লিখিত ‘চরৈবেতি’ (চর+এব+ইতি) কথার অর্থ এগিয়ে চল। এই বার্তা অত্যন্ত বাস্তববাদী ও প্রেরণাদায়ক। উপনিষদে বলা হয়েছে —
“পরিশ্রমী মানুষ মৌমাছির মত মধুর সন্ধান পায়, পাখির মত সুস্বাদু ফলের আস্বাদ পায়। সূর্যের প্রচেষ্টার দিকে তাকাও — প্রতিদিন ক্লান্তিহীনভাবে নিজের কাজে মগ্ন, আলস্যের ইঙ্গিত মাত্র নেই। অতএব, কোথাও থেমে যেও না, এগিয়ে চলো, এগিয়ে চলো।”
মোট ৩৩টি মন্ত্র সমৃদ্ধ ঐতরেয় উপনিষদ ঋগ্বেদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় এটি অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ। এখানে রয়েছে “প্রজ্ঞানং ব্রহ্ম” মহাবাক্যটি — যার অর্থ “চেতনাই ব্রহ্ম”।
সূত্র: স্বামী গুরুভক্তানন্দ, ‘ঐতরেয় উপনিষদ, সন্দীপনী সাধনালয়। ছবিতে থাকা ‘চরৈবেতি’ লেখা টি-শার্ট (আমাজন-এ উপলব্ধ) এই উপনিষদের জনপ্রিয়তাকে প্রমাণ করে।