বলির পিতামহ প্রহ্লাদ বামনপুরাণের এক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। বলি যখন ত্রিভুবন জয় করে রাজত্ব শুরু করেন তখন প্রহ্লাদ তাঁকে রাজধর্ম শিক্ষা দেন। পরে তিনি বলিকে বিষ্ণুর শ্রেষ্ঠত্বের কাহিনীও শোনান। তিনি বলেন যে বিষ্ণু বামন রূপে আবির্ভূত হয়েছেন বলেই বলির সেনারা ক্লান্ত ও মনোবলহীন হয়ে পড়েছে। কিন্তু বলি প্রহ্লাদের কথা উপেক্ষা করে বিষ্ণুকে ব্যঙ্গ করতে শুরু করেন। এতে রুষ্ট হয়ে প্রহ্লাদ তাঁকে অভিশাপ দেন যে, বিষ্ণুকে অসম্মান করার ফলস্বরূপ বলি তাঁর রাজত্ব হারাবেন। অনুতপ্ত বলি তখন ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং প্রায়শ্চিত্ত করতে চান।
এইভাবে, পুরাণ অনুসারে, প্রহ্লাদ তাঁর পিতা ও তাঁর পৌত্র—উভয়কেই বিষ্ণুর শ্রেষ্ঠত্বের সম্পর্কে অবহিত করেছিলেন।
ভাগবত পুরাণে উল্লিখিত আছে যে প্রহ্লাদ বামনের কাছে বলির জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করেন।

Picture Credit: Calcutta Art Studio

ঋগ্বেদের বর্ণনায় আছে ভগবান বিষ্ণু তিনটি পদক্ষেপে সম্পূর্ণ ত্রিভুবন আচ্ছাদিত করেছিলেন –
“বিষ্ণু তাঁর তিনটি দীর্ঘ পদক্ষেপে অনন্ত বিশ্বজগৎ অতিক্রম করলেন, সমগ্র জগৎ সংসার তাঁর পদধূলিকণার ন্যায় প্রতিভাত হল। বিশ্বজগতের রক্ষাকর্তা বিষ্ণু, যিনি সকল মোহমায়ার ঊর্ধ্বে, এইরূপে তাঁর তিনটি পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে ত্রিভুবনে তাঁর মহিমময় বিধান স্থাপন করলেন।”
এই বর্ণনা বামন অবতারের মূল ধারণাটি উপস্থাপন করে। অন্যান্য বেদ ও উপনিষদে এটি বিভিন্নভাবে চিত্রিত হয়েছে। মহাভারত এবং অন্যান্য কয়েকটি পুরাণেও বামন অবতারের পূর্ণ কাহিনী বর্ণনা পাওয়া যায়। বামনপুরাণে আরেকটি প্রাচীন কাহিনী আছে—যেখানে বিষ্ণু খর্বাকৃতি ধারণ করেন (কিন্তু তিনি তখন বামন অবতার নন) ও দানবরাজ ধুন্ধুর কাছে তিন পদক্ষেপ সমপরিমাণ ভূমি প্রার্থনা করেন।
বামনপুরাণে আশ্চর্যজনক ভাবে বামন অবতারের অধ্যায় অল্প স্থান অধিকার করে এবং একই অবতার দুইবার আলোচিত হয়েছেন। খৃষ্টপূর্ব দ্বিতীয় শতাব্দীতে রচিত পতঞ্জলির মহাভাষ্য-তেও বলির উল্লেখ আছে।

Picture Credit: Vamana Temple at Thirikkakkara, Kerala, Wikimedia Commons

বলি দেবরাজ ইন্দ্রকে পরাজিত করার পর দেবী লক্ষ্মী বলির রাজ্যে প্রবেশ করেন এবং তাঁকে অসুররাজ হিরণ্যকশিপুর বংশধর হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে তাঁর পরাক্রমের প্রশংসা করেন। দেবী লক্ষ্মীর সঙ্গে বিদ্যা, ধৈর্য্য, ক্ষমা, শিক্ষা, নীতি প্রভৃতি গুণের প্রতীক দেবীরাও বলির রাজ্যে বসবাস শুরু করেন।

Picture Credit: Wikimedia Commons

দেবরাজ ইন্দ্রকে পরাজিত করে বলি ত্রিভুবনের অধিপতি হন এবং দেবতাদের উদ্দেশ্যে অর্ঘ্য নিবেদন করা বন্ধ হয়ে যায়। ইন্দ্রের এই পরাজয়ে তাঁর মাতা অদিতি মর্মাহত হন। তিনি তাঁর স্বামী ঋষি কশ্যপের কাছে রাজ্য হারানোর কারণ জানতে চাইলে ঋষি কশ্যপ তাঁকে নিয়ে ব্রহ্মার সমীপে যান। ব্রহ্মা তখন জানান যে একমাত্র ভগবান বিষ্ণুই তাঁদের হৃতরাজ্য পুনরুদ্ধার করে দিতে পারেন। এরপর বিষ্ণুকে তুষ্ট করার জন্য অদিতি দীর্ঘ তপস্যা করেন। তাঁর তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে বিষ্ণু অদিতির গর্ভে পুত্ররূপে জন্মগ্রহণ করে বলির কাছ থেকে ত্রিভুবন পুনরুদ্ধার করে, ইন্দ্রকে পুনরায় সেখানে প্রতিষ্ঠিত করতে সম্মত হন।

Picture Credit: Vamana Alankar, Puri Jagannath Temple, Wikimedia Commons

যখন বামন অবতাররূপী বিষ্ণু বলিরাজের যজ্ঞের সমীপে আবির্ভূত হলেন, তখন যজ্ঞাগ্নি অসুরদের আহুতি গ্রহণ করা বন্ধ করে দিল। অসুরকুল ভয় পেল যে বিষ্ণু এই যজ্ঞ ধ্বংস করবেন, যেমন একসময় শিব করেছিলেন। তখন বলি তাঁর গুরু শুক্রাচার্য্যের কাছে যজ্ঞের অগ্নির এইরূপ আচরণের কারণ জানতে চাইলেন। শুক্রাচার্য্য বললেন যে যজ্ঞের অর্ঘ্য এখন দেবতাদের পরিবর্তে অসুরদের অর্পণ করা হয়েছে, তাই যজ্ঞাগ্নি এইরূপ ব্যবহার করছে। বিষ্ণু সেটি সংশোধন করতে এসেছেন। তিনি বলিকে সাবধান করেন যে বিষ্ণু তাঁকে বঞ্চিত করে সবকিছু ইন্দ্রকে দান করবেন; এমতাবস্থায় বলি যেন বিষ্ণুকে কোনকিছুই দান না করেন। কিন্তু বলি এই উপদেশ গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন — ভগবান বিষ্ণু স্বয়ং যখন এসেছেন, তখন তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। শুক্রাচার্য্য বলির দান রোধ করতে কমণ্ডলুতে প্রবেশ করেছিলেন, সেই কাহিনী বামনপুরাণে’ নেই কিন্তু অন্যান্য পুরাণে বর্ণিত হয়েছে।

Picture Credit: Wikimedia Commons

প্রচলিত কাহিনী অনুযায়ী বামনরূপী বিষ্ণু তিন পদ জমি প্রার্থনা করে বলির সঙ্গে প্রতারণা করেছিলেন। কিন্তু বামনপুরাণে বর্ণিত হয়েছে যে বলি সব জেনেশুনে স্বেচ্ছায় বিষ্ণুকে সবকিছু সমর্পন করতে প্রস্তুত ছিলেন। প্রহ্লাদ বলিকে একসময় অভিসম্পাত করেন যে তিনি তাঁর রাজ্য হারাবেন। তখন অনুতপ্ত বলি বলেন যে রাজ্য হারানো নিয়ে তার কোনো দুঃখ নেই। শুক্রাচার্য্যের মুখে স্বয়ং ভগবান বিষ্ণুর যজ্ঞে আগমনের বার্তা শুনে বলি আনন্দে আত্মহারা হন। বিষ্ণুকে কোন কিছু দান করতে শুক্রাচার্য্য তাঁকে নিষেধ করলে বলি দ্বিমত পোষণ করে বলেন—”বিষ্ণু স্বয়ং উপস্থিত হলে, তাঁকে অদেয় আমার কিছুই নেই। তিনি যদি আমাকে বধ করতেও আসেন, তাঁর হাতে মৃত্যুই আমার কাম্য।”
বামন যজ্ঞস্থলে উপস্থিত হলে বলি তাঁকে বলেন—“আপনার যা ইচ্ছা, আমি আপনাকে তাই দান করতে রাজি।” বামন তিন পদ জমি প্রার্থনা করেন। তখন বলি তাঁকে বিষ্ণু বলে সম্বোধন করে পুনরায় সবকিছু দান করার প্রস্তাব দেন।
ভাগবত পুরাণে বামন স্বীকার করেন যে তিনি বলিকে প্রতারণা করেছিলেন। কিন্তু যেহেতু বলি তাঁর প্রতিজ্ঞায় অটল ছিলেন, তাই বিষ্ণু তাঁকে রক্ষাও করেন।

Picture Credit: Vamana and Bali at Halabeidu, Ramanujam SR

ত্রিবিক্রম শব্দটি ‘তিনটি পদক্ষেপ’কে নির্দেশ করে। ভগবান বিষ্ণুর বা বামন অবতারের তিনটি সুবিশাল পদক্ষেপের জন্য তাঁকে ত্রিবিক্রম বলা হয়। ভারতীয় মন্দির-ভাস্কর্যে, বিশেষতঃ ইলোরায়, ত্রিবিক্রম মূর্তি আছে। দক্ষিণ ভারতে ত্রিবিক্রমের উদ্দেশ্যে নিবেদিত বহু মন্দির রয়েছে।

Picture Credit: Trivikrama at Halabeidu, Ramanujam SR

বলির পুত্র বাণ বামনের সঙ্গে তর্ক করেন। তিনি যুক্তি দেন যে, তাঁর পিতা ইতিমধ্যেই বিষ্ণুর সৃষ্ট সকল কিছুই দান করে দিয়েছেন। তাঁর পক্ষে আর কী দান করা সম্ভব? প্রভু সৃষ্টি করেন নি এমন তো কিছুই নেই, তাহলে বলিরাজ আর কী বা দান করবেন? আর কেনই বা বিষ্ণু নিজের সৃষ্ট ভূ-লোককে তুচ্ছ প্রমাণ করে অবমাননা করছেন? বিষ্ণু তখন শান্তভাবে বাণকে স্মরণ করিয়ে দেন যে, বিষ্ণুর প্রকৃত রূপের সীমাহীনতা সম্বন্ধে সম্পূর্ণ অবহিত হয়েই বলি তিন পদ ভূমি দেওয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন। এই তিন পদ তিনি বলির কল্যাণার্থে গ্রহণ করেছেন।
পরবর্তী কালে শ্রীকৃষ্ণ ও বাণের মধ্যে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের সমাপনে, বাণের কন্যা ঊষা শ্রীকৃষ্ণের পৌত্র অনিরুদ্ধের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

Picture Credit: Vamana deity at Khajuraho, Ramanujam SR

বামন পুরাণ অনুসারে বামন তৃতীয় পদক্ষেপটি বলির মস্তকের উপর রাখেননি। তিনি বলেন যে তাঁর করতলে বলি যে জল দিয়েছেন তিনি তা গ্রহণ করেছেন। তাই বলি এক কল্প যাবৎ জীবনধারণ করবেন। সেই সময়সীমা শেষ হলে তিনি ইন্দ্র হবেন। ততদিন পর্যন্ত ইন্দ্র ত্রিভুবনের রাজা থাকবেন।
বিষ্ণুর তৃতীয় পদক্ষেপের আগে পর্যন্ত বলি পাতালের একটি স্তর সুতললোকে জরা এবং ব্যাধি মুক্ত হয়ে বাস করবেন। সুতল শব্দের অর্থ হলো সুন্দরভাবে সমতল, সমৃদ্ধ, ও কল্যাণকর একটি ভূমি। স্বর্গবাসীদেরও কাম্য সেই স্থান। বলি সেখানে বিশ্বকর্মা কর্তৃক নির্মিত প্রাসাদে বাস করবেন। ধন-সম্পদ, জলাশয়, নৃত্য, সঙ্গীত ও সুন্দরী রমণী – তাঁর কোনকিছুর অভাব থাকবে না। তাঁর নিরুপদ্রব জীবনযাপন অব্যাহত থাকবে যদি না তিনি দেবতা বা ব্রাহ্মণদের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন।
সুতলে বলি কেশবের (বিষ্ণুর) একটি মন্দির নির্মাণ করেছিলেন। বিষ্ণু স্বয়ং সুতলে প্রহরী রূপে উপস্থিত ছিলেন।

Picture Credit: Raja Ravi Varma painting, Wikimedia Commons

বিষ্ণুকে উপহাস করায় প্রহ্লাদ বলিকে অভিশাপ দেন যে, তিনি তাঁর রাজত্ব হারাবেন। বলি অনুতপ্ত হলে প্রহ্লাদ তাকে পুরুষোত্তমের শরণ নেওয়ার পরামর্শ দেন এবং নিজে তীর্থযাত্রায় বেরিয়ে পড়েন। প্রহ্লাদ প্রস্থান করার পর বলি কুরুক্ষেত্রে অশ্বমেধ যজ্ঞ শুরু করেন। বিষ্ণু বামন অবতার রূপে কুরুক্ষেত্রের সেই যজ্ঞস্থলে উপস্থিত হলেন। এইজন্য কুরুক্ষেত্র শান্তিপূর্ণ বিজয়স্থল হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। এই স্থানই পরবর্তীকালে মহাভারতের যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত হয়। ভাগবত পুরাণে অবশ্য বলির যজ্ঞস্থলটি বর্তমান গুজরাটের ভারুচে অবস্থিত বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

Picture Credit: Vamana temple at Khajuraho, Ramanujam SR

দীপাবলির পরের দিন ভারতে কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, হিমাচল প্রদেশ সহ বহু স্থানে বলি-প্রতিপদ পালন করা হয়। লোকমুখে প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী প্রতি বছর এইদিনে বলি তাঁর রাজ্যে ফিরে আসেন।

বিষ্ণু তাঁকে সুতলে পাঠানোর নির্দেশ দিলে বলিরাজ বছরে একদিন করে নিজের রাজ্যে ফিরে আসার অনুমতি প্রার্থনা করেন। তখন বিষ্ণু সেই অনুরোধ মঞ্জুর করেন। বামন পুরাণে বলা হয়েছে যে, শক্রোৎসবের পরদিন যে প্রতিপদ, তাকে বলিপূজার দিন অর্থাৎ দ্বারপ্রতিপদ হিসেবে পালন করা হবে। এই দিনে সুস্থ ও সমৃদ্ধ মানুষেরা সাজসজ্জা করে পুষ্প ও প্রদীপ দিয়ে বলির পূজা করবেন। এই আনন্দের দিনটি কৌমুদী নামে পরিচিতি পাবে।

Picture Credit: Venugopal and Jayachadran, Tatvamasi Mural Art

বৌদ্ধ ঐতিহ্য অনুসারে, বলি অবলোকিতেশ্বরের কাছে নিজের জীবনকথা বর্ণনা করেন। সেখানে তিনি নিজেকে এক অহংকারী ও উদ্ধত রাজা হিসেবে উপস্থাপন করেন। তিনি একবার অসংখ্য রাজা ও ব্রাহ্মণদের একটি যজ্ঞে নিমন্ত্রণ করেছিলেন। তাঁদের সবাইকে একত্রে দেখে তিনি মদগর্বী হয়ে নিজেকে তাঁদের প্রভু মনে করেছিলেন। তিনি আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গিনী নারীদের প্রতি নিষ্ঠুর ব্যবহার করেছিলেন, শিশুদের হত্যা করেছিলেন, এবং পাণ্ডব ও কৌরবসহ ক্ষত্রিয়বর্গকে বন্দী করেছিলেন। তারপর তিনি নারায়ণকে সন্ধান করতে শুরু করলেন, কিন্তু তাঁর প্রচেষ্টা ব্যর্থ হল। তিনি তারপর যজ্ঞে মনোনিবেশ করে অর্ঘ্য দান শুরু করলেন। সেই সময়ে নারায়ণ দশরথপুত্র (রাম) রূপে পাণ্ডব ও কৌরবদের মুক্ত করলেন। এরপর রাম এক বামনের রূপে যজ্ঞস্থলে আবির্ভূত হয়ে বলির কাছে দুই পদ জমি প্রার্থনা করলেন। গর্বিত বলি তাঁকে তিন পদ জমি দেওয়ার অঙ্গীকার করলেন। দুই পদক্ষেপে বামন ভূলোক ও দ্যুলোক আচ্ছাদিত করলেন। বলি তৃতীয় পদক্ষেপ জমি দিতে অসমর্থ হলেন এবং দশরথপুত্র তাঁকে যজ্ঞক্ষেত্র থেকে পাতালে নির্বাসিত করলেন। আর পাণ্ডব, কৌরব ও ক্ষত্রিয়রা তাদের সমস্ত ধনসম্পদ ফিরে পেলেন। এই কাহিনী বলি অবলোকিতেশ্বরকে বর্ণনা করে বলেন যে, তাঁর এই অকল্যাণকর যজ্ঞের কারণে তিনি বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। তখন অবলোকিতেশ্বর বলিকে ধর্ম শিক্ষা দেন এবং বলেন যে একদিন তিনি অসুরদের ন্যায়পরায়ণ রাজা হিসেবে পরিচিত হবেন। তিনি তথাগত রূপে পূর্ণ বোধি ও প্রজ্ঞা অর্জন করবেন। বৌদ্ধ ঐতিহ্য এইরূপে বৌদ্ধধর্ম, বামন অবতার, রামায়ণ ও মহাভারতকে একত্রিত করেছে।
উৎস: Wisdom-lib, কারণ্ডব্যূহ সূত্র

Picture Credit: Vrindavan Das