নরকাসুরের মৃত্যুর পর তাঁর উত্তরসূরিদের রক্ষা করার দায়িত্ব ভূমিদেবী শ্রীকৃষ্ণকে দিলেন। শ্রীকৃষ্ণ সম্মত হলেন, এবং নরকাসুরপুত্র ভগদত্তকে প্রাগজ্যোতিষের সিংহাসনে অধিষ্ঠিত করলেন। ভাগবতের বর্ণনায় ভগদত্ত এক ভীতসন্ত্রস্ত বালক মাত্র। মহাভারতে তিনি রণহস্তী ব্যবহারে পারদর্শী, কৌরবপক্ষের একজন পূর্ণবয়স্ক যোদ্ধা। তাঁর রণহস্তীর দল কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে পাণ্ডব বাহিনীকে পর্যুদস্ত করেছিল। শ্বেতবর্ণ রণহস্তী সুপ্রতীকে আরূঢ় ভগদত্ত ভীম ও অর্জুনকে হত্যা করার অবস্থায় পৌঁছেছিলেন। রণভূমি পরিত্যাগ করে ভীম প্রাণরক্ষা করেন। নরকাসুরের থেকে প্রাপ্ত বিষ্ণু প্রদত্ত বৈষ্ণবাস্ত্র যুদ্ধের দ্বাদশ দিবসে ভগদত্ত অর্জুনের প্রতি নিক্ষেপ করেন। একমাত্র শ্রীকৃষ্ণ এই দিব্যাস্ত্র প্রতিরোধ করতে সক্ষম ছিলেন। শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে আড়াল করে নিজ বক্ষে বৈষ্ণবাস্ত্র গ্রহণ করেন এবং সেটি বৈজয়ন্তী মালা হয়ে যায়। পরে অর্জুনের বাণে ভগদত্ত নিহত হন। রথ থেকে অবতরণ করে অর্জুন তাঁর প্রতিপক্ষ এই মহান যোদ্ধার দেহ প্রদক্ষিণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
ভগদত্তের একটি হাতী ছিল অশ্বত্থামা। সেটির মৃত্যু হলে যুধিষ্ঠির দ্রোণকে উচ্চস্বরে বলেছিলেন “অশ্বত্থামা হত”, আর নিম্নকণ্ঠে “ইতি গজ”। প্রতারিত দ্রোণাচার্য পুত্রের মৃত্যু হয়েছে ভেবে প্রাণত্যাগ করেন।
আশ্চর্য এই যে, কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে শ্রীকৃষ্ণের শত্রু জরাসন্ধ ও শিশুপালের পুত্রগণ পাণ্ডব পক্ষে ছিলেন, কিন্তু ভগদত্ত – যাঁকে একদা শ্রীকৃষ্ণ রক্ষা করেন – ছিলেন কৌরবপক্ষে। পিতা নরকাসুরের মৃত্যু সম্ভবত তাঁর সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করেছিল।
ভূমি কর্তৃক তোলা উইকিমিডিয়া থেকে প্রাপ্ত চিত্রটি কর্ণাটকের বেলুড়ে অবস্থিত চেন্নাকেশব মন্দিরগাত্রের এক অনন্য ভাস্কর্যের। রণহস্তী সুপ্রতীকের পৃষ্ঠে আরূঢ় ভগদত্ত ও ভীমের যুদ্ধের দুটি মুহূর্ত এটি একসঙ্গে প্রদর্শন করে – ভীম আক্রমণ করছেন, এবং রণহস্তী সুপ্রতীক ভীমকে শুঁড়ে জড়িয়ে ধরেছে।
নরকাসুরের মৃত্যুর পর তাঁর উত্তরসূরিদের রক্ষা করার দায়িত্ব ভূমিদেবী শ্রীকৃষ্ণকে দিলেন। শ্রীকৃষ্ণ সম্মত হলেন, এবং নরকাসুরপুত্র ভগদত্তকে প্রাগজ্যোতিষের সিংহাসনে অধিষ্ঠিত করলেন। ভাগবতের বর্ণনায় ভগদত্ত এক ভীতসন্ত্রস্ত বালক মাত্র। মহাভারতে তিনি রণহস্তী ব্যবহারে পারদর্শী, কৌরবপক্ষের একজন পূর্ণবয়স্ক যোদ্ধা। তাঁর রণহস্তীর দল কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে পাণ্ডব বাহিনীকে পর্যুদস্ত করেছিল। শ্বেতবর্ণ রণহস্তী সুপ্রতীকে আরূঢ় ভগদত্ত ভীম ও অর্জুনকে হত্যা করার অবস্থায় পৌঁছেছিলেন। রণভূমি পরিত্যাগ করে ভীম প্রাণরক্ষা করেন। নরকাসুরের থেকে প্রাপ্ত বিষ্ণু প্রদত্ত বৈষ্ণবাস্ত্র যুদ্ধের দ্বাদশ দিবসে ভগদত্ত অর্জুনের প্রতি নিক্ষেপ করেন। একমাত্র শ্রীকৃষ্ণ এই দিব্যাস্ত্র প্রতিরোধ করতে সক্ষম ছিলেন। শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে আড়াল করে নিজ বক্ষে বৈষ্ণবাস্ত্র গ্রহণ করেন এবং সেটি বৈজয়ন্তী মালা হয়ে যায়। পরে অর্জুনের বাণে ভগদত্ত নিহত হন। রথ থেকে অবতরণ করে অর্জুন তাঁর প্রতিপক্ষ এই মহান যোদ্ধার দেহ প্রদক্ষিণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
ভগদত্তের একটি হাতী ছিল অশ্বত্থামা। সেটির মৃত্যু হলে যুধিষ্ঠির দ্রোণকে উচ্চস্বরে বলেছিলেন “অশ্বত্থামা হত”, আর নিম্নকণ্ঠে “ইতি গজ”। প্রতারিত দ্রোণাচার্য পুত্রের মৃত্যু হয়েছে ভেবে প্রাণত্যাগ করেন।
আশ্চর্য এই যে, কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে শ্রীকৃষ্ণের শত্রু জরাসন্ধ ও শিশুপালের পুত্রগণ পাণ্ডব পক্ষে ছিলেন, কিন্তু ভগদত্ত – যাঁকে একদা শ্রীকৃষ্ণ রক্ষা করেন – ছিলেন কৌরবপক্ষে। পিতা নরকাসুরের মৃত্যু সম্ভবত তাঁর সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করেছিল।
ভূমি কর্তৃক তোলা উইকিমিডিয়া থেকে প্রাপ্ত চিত্রটি কর্ণাটকের বেলুড়ে অবস্থিত চেন্নাকেশব মন্দিরগাত্রের এক অনন্য ভাস্কর্যের। রণহস্তী সুপ্রতীকের পৃষ্ঠে আরূঢ় ভগদত্ত ও ভীমের যুদ্ধের দুটি মুহূর্ত এটি একসঙ্গে প্রদর্শন করে – ভীম আক্রমণ করছেন, এবং রণহস্তী সুপ্রতীক ভীমকে শুঁড়ে জড়িয়ে ধরেছে।