কৌটিল্য (চাণক্য) রচিত ‘অর্থশাস্ত্র’ প্রাচীন ভারতের রাষ্ট্রচিন্তা ও ধনসৃষ্টির ভিত্তিমূল রচনা রূপে বিবেচিত হয়। এই গ্রন্থের প্রস্তাবনা অনুযায়ী সামাজিক স্থিতি ও নৈতিক জীবনযাপনের জন্য সমৃদ্ধি অপরিহার্য। ধনসম্পদ সৃষ্টি করার জন্য রাষ্ট্রীয় তত্ত্বাবধানে কৃষি, বাণিজ্য, খনন, শিল্প ও ন্যায়সঙ্গত কর ব্যবস্থা আবশ্যক। সংগঠিত বাজারব্যবস্থা, কারুশিল্প ও উৎপাদনে সমবায়ভিত্তিক সংগঠন, এবং সড়ক, সেচব্যবস্থা, বন্দর প্রভৃতি অবকাঠামো নির্মাণে পর্যাপ্ত বিনিয়োগের স্বপক্ষে কৌটিল্য সুদৃঢ় মত প্রকাশ করেন; এবং সেই সঙ্গে দুর্নীতি, প্রতারণা, মজুতদারি ও শোষণের বিরুদ্ধে তীব্র ভাষায় নিন্দা করেন। তিনি শাসককে কৃষক, কারিগর, বণিক ও ভোক্তাসহ সমগ্র প্রজাগণের অভিভাবকরূপে চিহ্নিত করেন, এবং ন্যায়সঙ্গত অর্থব্যবস্থা, জনকল্যাণ ও লোকসমাজের সামগ্রিক কল্যাণসাধন নিশ্চিত করার দায়িত্ব তাঁর উপর আরোপ করেন।
কৌটিল্য (চাণক্য) রচিত ‘অর্থশাস্ত্র’ প্রাচীন ভারতের রাষ্ট্রচিন্তা ও ধনসৃষ্টির ভিত্তিমূল রচনা রূপে বিবেচিত হয়। এই গ্রন্থের প্রস্তাবনা অনুযায়ী সামাজিক স্থিতি ও নৈতিক জীবনযাপনের জন্য সমৃদ্ধি অপরিহার্য। ধনসম্পদ সৃষ্টি করার জন্য রাষ্ট্রীয় তত্ত্বাবধানে কৃষি, বাণিজ্য, খনন, শিল্প ও ন্যায়সঙ্গত কর ব্যবস্থা আবশ্যক। সংগঠিত বাজারব্যবস্থা, কারুশিল্প ও উৎপাদনে সমবায়ভিত্তিক সংগঠন, এবং সড়ক, সেচব্যবস্থা, বন্দর প্রভৃতি অবকাঠামো নির্মাণে পর্যাপ্ত বিনিয়োগের স্বপক্ষে কৌটিল্য সুদৃঢ় মত প্রকাশ করেন; এবং সেই সঙ্গে দুর্নীতি, প্রতারণা, মজুতদারি ও শোষণের বিরুদ্ধে তীব্র ভাষায় নিন্দা করেন। তিনি শাসককে কৃষক, কারিগর, বণিক ও ভোক্তাসহ সমগ্র প্রজাগণের অভিভাবকরূপে চিহ্নিত করেন, এবং ন্যায়সঙ্গত অর্থব্যবস্থা, জনকল্যাণ ও লোকসমাজের সামগ্রিক কল্যাণসাধন নিশ্চিত করার দায়িত্ব তাঁর উপর আরোপ করেন।