পিতা হুমায়ুনের মৃত্যুর পরে চাচা বৈরাম খানই ছিলেন আকবরের শিক্ষক এবং রিজেন্ট। এই বৈরাম খানের পুত্র ছিলেন আবদুর রহিম খান-এ-খানান (১৫৫৬-১৬২৭) । রহিম খান আকবরের সঙ্গে বিভিন্ন সামরিক অভিযান বিশেষত গুজরাট অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি পরে মীর আরদ পদে অধিষ্ঠিত হন—এই পদে তিনি সম্রাটের উদ্দেশ্যে আসা হাজার হাজার দরখাস্ত শোনার দায়িত্ব পালন করতেন। তবে তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল—তিনি হলেন সেই ‘রহিম দাস’, যাঁর নাম আমাদের স্কুলের হিন্দি পাঠ্যবইয়ে মধ্যযুগের আরও তিন বিখ্যাত ভক্তি কবি সুরদাস, তুলসীদাস ও কবীর-এর সঙ্গে একই ছত্রে লেখা থাকত। তিনি জীবনযাপন সম্পর্কে ‘নুসখা’ বা জীবনপদ্ধতি সম্পর্কে উপদেশমূলক দোহা রচনা করেছেন। উদাহরণস্বরূপ,
“রহিমন ধাগা প্রেম কা, মত তোড়ো চটকায়, টুটে সে ফির না জুড়ে, জুড়ে গাঁঠ পর যায়।”
[ভালোবাসার সুতোটিকে কখনো টান দিয়ে ছিঁড়ে ফেলো না। ছিঁড়ে গেলে আবার জোড়া লাগালেও, সেখানে একটা গিঁট রয়ে যায়।]
তাঁর মতোই, আরও কিছু প্রখ্যাত মুসলিম ভক্তি কবি ছিলেন—যেমন রসখান, যিনি শ্রীকৃষ্ণ ভক্তির জন্য প্রসিদ্ধ, এবং আবদুর রহিম, যিনি পাঞ্জাবি ভাষায় রচনা করতেন।
https://scroll.in/article/814998/meet-abdur-rahim-khan-e-khanan-who-was-also-the-bhakta-poet-rahim-das.
উইকিমিডিয়ার থেকে নেওয়া ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে, পিতার মৃত্যুর পর কিশোর রহিমকে আকবরের হাতে সমর্পণ করা হচ্ছে।
পিতা হুমায়ুনের মৃত্যুর পরে চাচা বৈরাম খানই ছিলেন আকবরের শিক্ষক এবং রিজেন্ট। এই বৈরাম খানের পুত্র ছিলেন আবদুর রহিম খান-এ-খানান (১৫৫৬-১৬২৭) । রহিম খান আকবরের সঙ্গে বিভিন্ন সামরিক অভিযান বিশেষত গুজরাট অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি পরে মীর আরদ পদে অধিষ্ঠিত হন—এই পদে তিনি সম্রাটের উদ্দেশ্যে আসা হাজার হাজার দরখাস্ত শোনার দায়িত্ব পালন করতেন। তবে তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল—তিনি হলেন সেই ‘রহিম দাস’, যাঁর নাম আমাদের স্কুলের হিন্দি পাঠ্যবইয়ে মধ্যযুগের আরও তিন বিখ্যাত ভক্তি কবি সুরদাস, তুলসীদাস ও কবীর-এর সঙ্গে একই ছত্রে লেখা থাকত। তিনি জীবনযাপন সম্পর্কে ‘নুসখা’ বা জীবনপদ্ধতি সম্পর্কে উপদেশমূলক দোহা রচনা করেছেন। উদাহরণস্বরূপ,
“রহিমন ধাগা প্রেম কা, মত তোড়ো চটকায়, টুটে সে ফির না জুড়ে, জুড়ে গাঁঠ পর যায়।”
[ভালোবাসার সুতোটিকে কখনো টান দিয়ে ছিঁড়ে ফেলো না। ছিঁড়ে গেলে আবার জোড়া লাগালেও, সেখানে একটা গিঁট রয়ে যায়।]
তাঁর মতোই, আরও কিছু প্রখ্যাত মুসলিম ভক্তি কবি ছিলেন—যেমন রসখান, যিনি শ্রীকৃষ্ণ ভক্তির জন্য প্রসিদ্ধ, এবং আবদুর রহিম, যিনি পাঞ্জাবি ভাষায় রচনা করতেন।
https://scroll.in/article/814998/meet-abdur-rahim-khan-e-khanan-who-was-also-the-bhakta-poet-rahim-das.
উইকিমিডিয়ার থেকে নেওয়া ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে, পিতার মৃত্যুর পর কিশোর রহিমকে আকবরের হাতে সমর্পণ করা হচ্ছে।