অষ্টাদশ শতকের দক্ষিণ ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের তিন রত্নের একজন ছিলেন মুথুস্বামী দীক্ষিতর। তাঁর জন্মস্থান তামিলনাড়ুর তিরুভারুরে একটি অপূর্ব সুন্দর ত্যাগরাজা শিবমন্দির আছে। সেই মন্দিরের ভিতরে ও আশেপাশে অবস্থিত ১৬টি গণেশমূর্তির উদ্দেশ্যে দীক্ষিতর তাঁর রচিত ‘ষোড়শ গণপতি কৃতি’ উৎসর্গ করেন। এই ১৬টি কৃতির একটি বাতাপি গণপতির স্তুতি গান করে। সপ্তম শতকে চালুক্যদের পরাজিত করে পল্লবরা এই দেবমূর্তি বাতাপি (বাদামি) থেকে নিয়ে এসেছিলেন। লোককথা অনুযায়ী, দীক্ষিতর এই গানটি সেই দেবতার উদ্দেশ্যেই গেয়েছিলেন। তবে ইতিহাসবিদরা এ বিষয়ে একমত নন। ভিন্ন মতানুসারে এটি দশম শতকের শেষ দিকের চোল রাজবংশের একটি অবদান এবং গানটি তিরুভারুরেই অবস্থিত আরেক দেবতার উদ্দেশ্যে রচিত। এই সুন্দর রচনাটির প্রথম কয়েকটি পংক্তি হলো—
“বাতাপি গণপতিম্ ভজেহম্।
বারণাস্যম্ বরপ্রদম্ শ্রী।।
ভূতাদি সমসেবিত চরণম্
ভূত ভৌতিক প্রপঞ্চ ভরণম্
বীতরাগিনম্ বিনত যোগীনম্
বিশ্বকারণম্ বিঘ্নবারণম্
পূরাকুম্ভসম্ভব মুনিবর প্রপূজিতম্।”
অর্থাৎ –
“আমি বাতাপির গণপতির ভজনা করি। তাঁর আনন বারণ (গজ) সদৃশ, তিনি বরপ্রদানকারী। পঞ্চভূত (অর্থাৎ ক্ষিতি, অপ, তেজ, মরুর, ব্যোম) এবং জীবজগৎ তাঁর চরণবন্দনা করে। তিনি সমগ্র পার্থিব জগতের ও আত্মাদের পরমাশ্রয়। তিনি সকল আসক্তির ঊর্ধ্বে, এবং যোগীগণের প্রণম্য। তিনি বিশ্বস্রষ্টা, বিঘ্নহারী। প্রাচীনকালে ঋষি কুম্ভজাত (অগস্ত্য) তাঁর পূজা করেছিলেন।”
সূত্র: অ্যামি ক্যাটলিন, Vatapi Ganapatim
অষ্টাদশ শতকের দক্ষিণ ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের তিন রত্নের একজন ছিলেন মুথুস্বামী দীক্ষিতর। তাঁর জন্মস্থান তামিলনাড়ুর তিরুভারুরে একটি অপূর্ব সুন্দর ত্যাগরাজা শিবমন্দির আছে। সেই মন্দিরের ভিতরে ও আশেপাশে অবস্থিত ১৬টি গণেশমূর্তির উদ্দেশ্যে দীক্ষিতর তাঁর রচিত ‘ষোড়শ গণপতি কৃতি’ উৎসর্গ করেন। এই ১৬টি কৃতির একটি বাতাপি গণপতির স্তুতি গান করে। সপ্তম শতকে চালুক্যদের পরাজিত করে পল্লবরা এই দেবমূর্তি বাতাপি (বাদামি) থেকে নিয়ে এসেছিলেন। লোককথা অনুযায়ী, দীক্ষিতর এই গানটি সেই দেবতার উদ্দেশ্যেই গেয়েছিলেন। তবে ইতিহাসবিদরা এ বিষয়ে একমত নন। ভিন্ন মতানুসারে এটি দশম শতকের শেষ দিকের চোল রাজবংশের একটি অবদান এবং গানটি তিরুভারুরেই অবস্থিত আরেক দেবতার উদ্দেশ্যে রচিত। এই সুন্দর রচনাটির প্রথম কয়েকটি পংক্তি হলো—
“বাতাপি গণপতিম্ ভজেহম্।
বারণাস্যম্ বরপ্রদম্ শ্রী।।
ভূতাদি সমসেবিত চরণম্
ভূত ভৌতিক প্রপঞ্চ ভরণম্
বীতরাগিনম্ বিনত যোগীনম্
বিশ্বকারণম্ বিঘ্নবারণম্
পূরাকুম্ভসম্ভব মুনিবর প্রপূজিতম্।”
অর্থাৎ –
“আমি বাতাপির গণপতির ভজনা করি। তাঁর আনন বারণ (গজ) সদৃশ, তিনি বরপ্রদানকারী। পঞ্চভূত (অর্থাৎ ক্ষিতি, অপ, তেজ, মরুর, ব্যোম) এবং জীবজগৎ তাঁর চরণবন্দনা করে। তিনি সমগ্র পার্থিব জগতের ও আত্মাদের পরমাশ্রয়। তিনি সকল আসক্তির ঊর্ধ্বে, এবং যোগীগণের প্রণম্য। তিনি বিশ্বস্রষ্টা, বিঘ্নহারী। প্রাচীনকালে ঋষি কুম্ভজাত (অগস্ত্য) তাঁর পূজা করেছিলেন।”
সূত্র: অ্যামি ক্যাটলিন, Vatapi Ganapatim