পোর্তুগীজরা দেবমূর্তি ভাঙচুর করবে এই আশঙ্কায় দেবী ভগবতী মুর্তিটি ১৬৭৩ সালে মার্সেলে স্থানান্তরিত করা হয়। প্রতি বছর অনুষ্ঠিত মার্সেল থেকে তিসওয়াড়ি দেবী-যাত্রা সেই ঐতিহাসিক ঘটনার স্মারক।
হিন্দুদের সহায়তায় পোর্তুগীজরা গোয়া দখল করেছিল। তাই পোর্তুগীজ শাসনের সূচনালগ্নে তাঁদের প্রতি পোর্তুগীজ শাসকদের আচরণ ছিল সদয়। কিন্তু ১৫৪০ সালে হিন্দুদের প্রতি বৈষম্যমূলক আইন প্রবর্তন হয়। অষ্টাদশ শতক থেকে এই আইন ক্রমশ শিথিল হতে থাকে, এবং ১৯১০ সালে রদ হয়।
পিয়ারসনের বিবরণ অনুযায়ী ১৫৪০ সালের পর ওল্ড গোয়া, বারদেস এবং শেষে স্যালসেট—এই সকল অঞ্চলের হিন্দুদের ক্যাথলিক খৃষ্টান ধর্মে ধর্মান্তর ত্বরান্বিত করতে সমস্ত মন্দির ধ্বংস করা হয়। বিবাহ, দাহ, শ্রাদ্ধাদি সহ অধিকাংশ হিন্দু আচার-অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। বিহ্বল, বিপর্যস্ত ব্রাহ্মণগণ দেবদেবীদের মূর্তি রক্ষার্থে তাঁদের পোর্তুগীজ অধিকৃত এলাকা অতিক্রম করে নিয়ে যান ও আশ্রয় খোঁজেন। সেই কারণেই পণ্ডা অঞ্চলে আজও বহু প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী মন্দির দেখতে পাওয়া যায়। পণ্ডা পোর্তুগীজ শাসনে আসে তুলনামূলকভাবে সহনশীল অষ্টাদশ শতকে।
১৭২৯ সালে ভাইসরয় জোয়াও সালদানহা মন্তব্য করেছিলেন যে তৎকালীন গোয়ার পতনের প্রধান কারণ ছিল বাণিজ্যের সংকট: হিন্দু ও মুসলমান দুই সম্প্রদায়ের বণিকই ‘হোলি অফিস’ (ভ্যাটিকানের বিভাগ যেটি ক্যাথলিক মতবাদ রক্ষা, ধর্মদ্রোহিতার বিচার ইত্যাদি কাজ করত) কে ভীতিপ্রদ মনে করত।
প্রদর্শিত চিত্রটি মার্সেল, গোয়ার অবস্থিত শ্রী ভগবতী হল্দোনকারিন দেবস্থান-এর ওয়েবসাইট থেকে গৃহীত।
পোর্তুগীজরা দেবমূর্তি ভাঙচুর করবে এই আশঙ্কায় দেবী ভগবতী মুর্তিটি ১৬৭৩ সালে মার্সেলে স্থানান্তরিত করা হয়। প্রতি বছর অনুষ্ঠিত মার্সেল থেকে তিসওয়াড়ি দেবী-যাত্রা সেই ঐতিহাসিক ঘটনার স্মারক।
হিন্দুদের সহায়তায় পোর্তুগীজরা গোয়া দখল করেছিল। তাই পোর্তুগীজ শাসনের সূচনালগ্নে তাঁদের প্রতি পোর্তুগীজ শাসকদের আচরণ ছিল সদয়। কিন্তু ১৫৪০ সালে হিন্দুদের প্রতি বৈষম্যমূলক আইন প্রবর্তন হয়। অষ্টাদশ শতক থেকে এই আইন ক্রমশ শিথিল হতে থাকে, এবং ১৯১০ সালে রদ হয়।
পিয়ারসনের বিবরণ অনুযায়ী ১৫৪০ সালের পর ওল্ড গোয়া, বারদেস এবং শেষে স্যালসেট—এই সকল অঞ্চলের হিন্দুদের ক্যাথলিক খৃষ্টান ধর্মে ধর্মান্তর ত্বরান্বিত করতে সমস্ত মন্দির ধ্বংস করা হয়। বিবাহ, দাহ, শ্রাদ্ধাদি সহ অধিকাংশ হিন্দু আচার-অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। বিহ্বল, বিপর্যস্ত ব্রাহ্মণগণ দেবদেবীদের মূর্তি রক্ষার্থে তাঁদের পোর্তুগীজ অধিকৃত এলাকা অতিক্রম করে নিয়ে যান ও আশ্রয় খোঁজেন। সেই কারণেই পণ্ডা অঞ্চলে আজও বহু প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী মন্দির দেখতে পাওয়া যায়। পণ্ডা পোর্তুগীজ শাসনে আসে তুলনামূলকভাবে সহনশীল অষ্টাদশ শতকে।
১৭২৯ সালে ভাইসরয় জোয়াও সালদানহা মন্তব্য করেছিলেন যে তৎকালীন গোয়ার পতনের প্রধান কারণ ছিল বাণিজ্যের সংকট: হিন্দু ও মুসলমান দুই সম্প্রদায়ের বণিকই ‘হোলি অফিস’ (ভ্যাটিকানের বিভাগ যেটি ক্যাথলিক মতবাদ রক্ষা, ধর্মদ্রোহিতার বিচার ইত্যাদি কাজ করত) কে ভীতিপ্রদ মনে করত।
প্রদর্শিত চিত্রটি মার্সেল, গোয়ার অবস্থিত শ্রী ভগবতী হল্দোনকারিন দেবস্থান-এর ওয়েবসাইট থেকে গৃহীত।