রেজাং লার ঐতিহাসিক যুদ্ধ ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর স্মৃতিতে অমর হয়ে রয়েছে। এই যুদ্ধে ১৩ নম্বর কুমায়ুন রেজিমেন্ট মেজর শৈতান সিং-এর নেতৃত্বে এক অসামান্য বীরত্ব প্রদর্শন করেন। ভারতীয় সেনাবাহিনীর অন্যান্য ঘাঁটি থেকে বিচ্ছিন্ন একটি এলাকা রক্ষা করার দায়িত্ব ছিল তাঁর কোম্পানির। ১৮ নভেম্বর ১৯৬২-তে চীনা সেনারা এই এলাকায় প্রবল গোলাবর্ষণ করে। বিশাল সংখ্যক সৈন্যবাহিনী নিয়ে তারা একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে। মেজর শৈতান সিং এবং তাঁর কোম্পানি পুরো পরিস্থিতিতে আধিপত্য বজায় রাখেন। মেজর শৈতান সিং নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এক পল্টন থেকে আরেক পল্টনে গিয়ে সৈনিকদের উৎসাহ ও কর্তব্যকর্ম বুঝিয়ে দেন। তাঁর কোম্পানি অনেকবার শত্রুর আক্রমণ প্রতিহত করে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত মেজর শৈতান সিং মারাত্মকভাবে আহত হন। তবুও তিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে থাকেন।
এই যুদ্ধে ভারত ১১৪ জন সৈনিক হারায়। চীনের ক্ষয়ক্ষতি ছিল ভারতের তুলনায় চার থেকে পাঁচ গুণ বেশি।
শেষে মেজর শৈতান সিং গুরুতরভাবে আহত হয়ে পড়ে যান। তাঁর সৈনিকরা তাঁকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন, কিন্তু তিনি তাঁদের আদেশ দেন তাঁকে ফেলে রেখে যুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে।
যুদ্ধ এতটাই তীব্র ও নৃশংস ছিল যে, পরবর্তী সময়ে যুদ্ধক্ষেত্রে ফিরে গিয়ে দেখা যায় অনেক সৈনিক তাঁদের ট্রেঞ্চে অস্ত্র ধরে থাকা অবস্থাতেই মৃত্যু বরণ করেছেন। হাতে বোমা ধরা অবস্থায় মৃত এক মর্টারম্যানকে পাওয়া যায়। এই যুদ্ধে একটি পরমবীর চক্র, আটটি বীর চক্র, চারটি সেনা মেডেল এবং একটি মেনশন ইন ডিসপ্যাচ সম্মান প্রদান করা হয়
রেজাং লার ঐতিহাসিক যুদ্ধ ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর স্মৃতিতে অমর হয়ে রয়েছে। এই যুদ্ধে ১৩ নম্বর কুমায়ুন রেজিমেন্ট মেজর শৈতান সিং-এর নেতৃত্বে এক অসামান্য বীরত্ব প্রদর্শন করেন। ভারতীয় সেনাবাহিনীর অন্যান্য ঘাঁটি থেকে বিচ্ছিন্ন একটি এলাকা রক্ষা করার দায়িত্ব ছিল তাঁর কোম্পানির। ১৮ নভেম্বর ১৯৬২-তে চীনা সেনারা এই এলাকায় প্রবল গোলাবর্ষণ করে। বিশাল সংখ্যক সৈন্যবাহিনী নিয়ে তারা একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে। মেজর শৈতান সিং এবং তাঁর কোম্পানি পুরো পরিস্থিতিতে আধিপত্য বজায় রাখেন। মেজর শৈতান সিং নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এক পল্টন থেকে আরেক পল্টনে গিয়ে সৈনিকদের উৎসাহ ও কর্তব্যকর্ম বুঝিয়ে দেন। তাঁর কোম্পানি অনেকবার শত্রুর আক্রমণ প্রতিহত করে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত মেজর শৈতান সিং মারাত্মকভাবে আহত হন। তবুও তিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে থাকেন।
এই যুদ্ধে ভারত ১১৪ জন সৈনিক হারায়। চীনের ক্ষয়ক্ষতি ছিল ভারতের তুলনায় চার থেকে পাঁচ গুণ বেশি।
শেষে মেজর শৈতান সিং গুরুতরভাবে আহত হয়ে পড়ে যান। তাঁর সৈনিকরা তাঁকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন, কিন্তু তিনি তাঁদের আদেশ দেন তাঁকে ফেলে রেখে যুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে।
যুদ্ধ এতটাই তীব্র ও নৃশংস ছিল যে, পরবর্তী সময়ে যুদ্ধক্ষেত্রে ফিরে গিয়ে দেখা যায় অনেক সৈনিক তাঁদের ট্রেঞ্চে অস্ত্র ধরে থাকা অবস্থাতেই মৃত্যু বরণ করেছেন। হাতে বোমা ধরা অবস্থায় মৃত এক মর্টারম্যানকে পাওয়া যায়। এই যুদ্ধে একটি পরমবীর চক্র, আটটি বীর চক্র, চারটি সেনা মেডেল এবং একটি মেনশন ইন ডিসপ্যাচ সম্মান প্রদান করা হয়