মোক্ষপ্রদায়ী সপ্তপুরী বা সাতটি পবিত্র নগরী হল — অযোধ্যা, মথুরা, হরিদ্বার, দ্বারকা, বারাণসী, কাঞ্চি ও উজ্জয়িনী। পুরী এই সপ্তপুরীর অন্তর্ভুক্ত নয়। পুর শব্দের অর্থ নগর অথবা শহর। এই পুর শব্দ থেকেই পুরী নামটি এসেছে। পুরী একটি অত্যন্ত প্রাচীন নগরী। মহাভারতে পুরীর উল্লেখ আছে। এমনও দাবি রয়েছে যে ঋগ্বেদে পুরীর উল্লেখ পাওয়া যায়, যদিও বিষয়টি বিতর্কিত। তবে খৃষ্টিয় সপ্তম শতক ও তার পরবর্তী সময়ের বিভিন্ন পুরাণে পুরীর নাম উল্লিখিত হয়ে এসেছে।
চারধাম-এর অন্যতম ধাম হল পুরী। বাকি তিনটি হল — বদ্রীনাথ, দ্বারকা ও রামেশ্বরম। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, এই চারধামের প্রতিটি ধাম একটি করে যুগের প্রতিনিধিত্ব করে। পুরীকে কলিযুগের প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। আদিশংকরাচার্য এই চার ধামের প্রত্যেকটিতে একটি করে মঠ প্রতিষ্ঠা করেন।
পুরী একটি শক্তিপীঠও বটে। দেবী বিমলার মন্দির জগন্নাথ মন্দির প্রাঙ্গনেই অবস্থিত। এটি তন্ত্র সাধনার সঙ্গে যুক্ত বলে মনে করা হয়। যদিও এটি একটি সুপ্রতিষ্ঠিত বৈষ্ণব মন্দির, তবুও দুর্গাপূজার সময় দেবী বিমলার উদ্দেশ্যে ছাগবলির আচার পালিত হয়।
পুরী একটি শৈবক্ষেত্র হিসেবেও পরিচিত, যদিও এটি কোনো জ্যোতির্লিঙ্গ নয়। জগন্নাথ মন্দির থেকে প্রায় ২ কিমি দূরে বিখ্যাত লোকনাথ মন্দির অবস্থিত। এই শিবলিঙ্গ সারাবছর জলে নিমজ্জিত থাকে। শুধুমাত্র শিবরাত্রির দিন সেই জল সরিয়ে ভক্তদের জন্য দর্শনের ব্যবস্থা করা হয়। ছবিতে উইলিয়াম হেনরি কর্নিশ কর্তৃক ১৮৬৮ সালের দিকে আঁকা পুরীর জগন্নাথ মন্দিরটি দেখা যাচ্ছে।
জে এইচ ডেভ, ইমমর্টাল ইন্ডিয়া, ১৯৫৭
মোক্ষপ্রদায়ী সপ্তপুরী বা সাতটি পবিত্র নগরী হল — অযোধ্যা, মথুরা, হরিদ্বার, দ্বারকা, বারাণসী, কাঞ্চি ও উজ্জয়িনী। পুরী এই সপ্তপুরীর অন্তর্ভুক্ত নয়। পুর শব্দের অর্থ নগর অথবা শহর। এই পুর শব্দ থেকেই পুরী নামটি এসেছে। পুরী একটি অত্যন্ত প্রাচীন নগরী। মহাভারতে পুরীর উল্লেখ আছে। এমনও দাবি রয়েছে যে ঋগ্বেদে পুরীর উল্লেখ পাওয়া যায়, যদিও বিষয়টি বিতর্কিত। তবে খৃষ্টিয় সপ্তম শতক ও তার পরবর্তী সময়ের বিভিন্ন পুরাণে পুরীর নাম উল্লিখিত হয়ে এসেছে।
চারধাম-এর অন্যতম ধাম হল পুরী। বাকি তিনটি হল — বদ্রীনাথ, দ্বারকা ও রামেশ্বরম। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, এই চারধামের প্রতিটি ধাম একটি করে যুগের প্রতিনিধিত্ব করে। পুরীকে কলিযুগের প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। আদিশংকরাচার্য এই চার ধামের প্রত্যেকটিতে একটি করে মঠ প্রতিষ্ঠা করেন।
পুরী একটি শক্তিপীঠও বটে। দেবী বিমলার মন্দির জগন্নাথ মন্দির প্রাঙ্গনেই অবস্থিত। এটি তন্ত্র সাধনার সঙ্গে যুক্ত বলে মনে করা হয়। যদিও এটি একটি সুপ্রতিষ্ঠিত বৈষ্ণব মন্দির, তবুও দুর্গাপূজার সময় দেবী বিমলার উদ্দেশ্যে ছাগবলির আচার পালিত হয়।
পুরী একটি শৈবক্ষেত্র হিসেবেও পরিচিত, যদিও এটি কোনো জ্যোতির্লিঙ্গ নয়। জগন্নাথ মন্দির থেকে প্রায় ২ কিমি দূরে বিখ্যাত লোকনাথ মন্দির অবস্থিত। এই শিবলিঙ্গ সারাবছর জলে নিমজ্জিত থাকে। শুধুমাত্র শিবরাত্রির দিন সেই জল সরিয়ে ভক্তদের জন্য দর্শনের ব্যবস্থা করা হয়। ছবিতে উইলিয়াম হেনরি কর্নিশ কর্তৃক ১৮৬৮ সালের দিকে আঁকা পুরীর জগন্নাথ মন্দিরটি দেখা যাচ্ছে।
জে এইচ ডেভ, ইমমর্টাল ইন্ডিয়া, ১৯৫৭