আয়ুর্বেদের মৌলিক তত্ত্বের ভিত্তি হল ত্রিদোষ- বাত – বায়ু, যা স্নায়ুতন্ত্র ও গতি নিয়ন্ত্রণ করে,
পিত্ত – পিত, যা পাচন ও বিপাকক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে, কফ – শ্লেষ্মা, যা তাপ নিয়ন্ত্রণ করে। যখন দেহের সাতটি ধাতুর (রস, রক্ত, মাংস, মেদ, অস্থি, মজ্জা, শুক্র) মধ্যে সাম্য থাকে, তখন দেহের এই তিনটি দোষের মধ্যেও ভারসাম্য থাকে। কিন্তু ধাতুগুলির ভারসাম্য নষ্ট হলে দোষেরও ভারসাম্য বিঘ্নিত হয় — আর সেখান থেকেই রোগের সৃষ্টি হয়। চিকিৎসার প্রধান উদ্দেশ্য হলো — এই সাতটি ধাতুর ভারসাম্যের সঙ্গে দোষেরও ভারসাম্য রক্ষা করা।
একজন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক রোগ নির্ণয় করার আগে রোগীর সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানার চেষ্টা করেন, যেমন তার স্বভাব (প্রকৃতি), খাদ্যাভ্যাস, দৈনন্দিন জীবনযাত্রা। এর সাহায্যে বোঝা যায় কোন দোষটির কারণে রোগের সৃষ্টি হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ: সাধারণত ডায়াবেটিস রোগ দেখা যায় কফ দোষ বৃদ্ধির কারণে। ব্যায়ামের অভাব, অলসতা,অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়া, মদ্যপান, বা নতুন শস্য দিয়ে তৈরি খাবার খাওয়া – এসবের ফলে কফ দোষ বাড়তে দেখা যায়। আমরা যা খাই, তা ধাতুকে পরিপুষ্ট করে তুলতে সাহায্য করে এবং খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে দোষের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
সূত্র: Alok Kumar, Ancient Hindu Science
আয়ুর্বেদের মৌলিক তত্ত্বের ভিত্তি হল ত্রিদোষ- বাত – বায়ু, যা স্নায়ুতন্ত্র ও গতি নিয়ন্ত্রণ করে,
পিত্ত – পিত, যা পাচন ও বিপাকক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে, কফ – শ্লেষ্মা, যা তাপ নিয়ন্ত্রণ করে। যখন দেহের সাতটি ধাতুর (রস, রক্ত, মাংস, মেদ, অস্থি, মজ্জা, শুক্র) মধ্যে সাম্য থাকে, তখন দেহের এই তিনটি দোষের মধ্যেও ভারসাম্য থাকে। কিন্তু ধাতুগুলির ভারসাম্য নষ্ট হলে দোষেরও ভারসাম্য বিঘ্নিত হয় — আর সেখান থেকেই রোগের সৃষ্টি হয়। চিকিৎসার প্রধান উদ্দেশ্য হলো — এই সাতটি ধাতুর ভারসাম্যের সঙ্গে দোষেরও ভারসাম্য রক্ষা করা।
একজন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক রোগ নির্ণয় করার আগে রোগীর সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানার চেষ্টা করেন, যেমন তার স্বভাব (প্রকৃতি), খাদ্যাভ্যাস, দৈনন্দিন জীবনযাত্রা। এর সাহায্যে বোঝা যায় কোন দোষটির কারণে রোগের সৃষ্টি হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ: সাধারণত ডায়াবেটিস রোগ দেখা যায় কফ দোষ বৃদ্ধির কারণে। ব্যায়ামের অভাব, অলসতা,অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়া, মদ্যপান, বা নতুন শস্য দিয়ে তৈরি খাবার খাওয়া – এসবের ফলে কফ দোষ বাড়তে দেখা যায়। আমরা যা খাই, তা ধাতুকে পরিপুষ্ট করে তুলতে সাহায্য করে এবং খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে দোষের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
সূত্র: Alok Kumar, Ancient Hindu Science